MUHAMMAD TAREK 

admission in arena web security 

Teacher: Tanjim al Fahim
Email: napaextra376@gmail.com



OSINT - B58

CLASS NOTE

___

Notes


GSM
GSM হল Global System for Mobile Communication, একটি ডিজিটাল সেলুলার নেটওয়ার্কিং স্ট্যান্ডার্ড যা মোবাইল ফোন ও অন্যান্য ডিভাইস ব্যবহার করে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত দ্বিতীয় প্রজন্মের (2G) সেলুলার নেটওয়ার্কিং প্রোটোকলের একটি পরিবার। 

LRL 

Last Radio Location হলো সেই স্থান যেখানে একটি মোবাইল ফোন বা রেডিও ডিভাইস সর্বশেষ রেডিও সিগন্যাল পাঠিয়েছে বা গ্রহণ করেছে। এটি নির্ধারণ করা হয় সেল টাওয়ার, Wi-Fi, বা Bluetooth সিগন্যালের মাধ্যমে।

কিভাবে কাজ করে:

  1. সেল টাওয়ার ট্রায়াঙ্গুলেশন: একাধিক টাওয়ার থেকে সিগন্যাল গ্রহণ করে ফোনের অবস্থান নির্ধারণ।

  2. Wi-Fi / Bluetooth: নিকটবর্তী সিগন্যালের সাহায্যে অবস্থান নির্ধারণ।

  3. GPS / A-GPS: ফোনের স্যাটেলাইট লোকেশন (যদি সক্রিয় থাকে)।

ব্যবহারের ক্ষেত্রে:

  • জরুরি সেবা: নিখোঁজ বা দুর্ঘটনা ঘটলে ফোনের শেষ অবস্থান ট্র্যাক করা।

  • সাইবার সিকিউরিটি: সন্দেহজনক লগইন বা আক্রমণ শনাক্ত করতে।

  • অ্যাকাউন্ট সিকিউরিটি: অ্যাকাউন্টে অজ্ঞাত লগইন হলে লোকেশন জানাতে।

সীমাবদ্ধতা:

  • সঠিকতা ১০০% নয়, এবং গোপনীয়তার লঙ্ঘন হতে পারে।

এটা একধরনের লোকেশন ট্র্যাকিং পদ্ধতি যা মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কাজে আসে।


IP Er pura details

https://whatismyipaddress.com/

https://grabify.link/
GEO LOCATION

"Geo location" (বা Geolocation) হলো কোনো বস্তুর বা ব্যক্তির ভৌগলিক অবস্থান নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া, সাধারণত latitude (অক্ষাংশ) এবং longitude (দ্রাঘিমাংশ) ব্যবহার করে। সহজভাবে বললে, আপনি পৃথিবীর কোথায় আছেন সেটা জানা বা নির্ধারণ করার পদ্ধতিই হলো Geolocation।

এটা সাধারণত নিচের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়:

  1. GPS (Global Positioning System) – মোবাইল বা GPS ডিভাইসের মাধ্যমে সরাসরি স্থান চিহ্নিত করা।

  2. IP Address – ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে আনুমানিক লোকেশন নির্ধারণ করা।

  3. Wi-Fi বা Cell Tower Triangulation – নিকটবর্তী ওয়াইফাই বা মোবাইল টাওয়ারের মাধ্যমে অবস্থান অনুমান করা।


উদাহরণ:
আপনি যদি আপনার মোবাইলে Google Maps খুলেন, তাহলে সেটা আপনার বর্তমান লোকেশন দেখাতে পারে — এটা Geolocation-এর একটা ব্যবহার।


ISP THEKE DATA COLLECT KORAR METHOD 


🔍 ১. ISP কাকে বলে?

ISP বা Internet Service Provider হলো সেই কোম্পানি যেটা আপনাকে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়। যেমন: BTCL, Grameenphone, Link3, AmberIT, BDcom ইত্যাদি।


🧠 ২. ISP কী ধরনের ডেটা সংগ্রহ করতে পারে?

ISP চাইলে আপনি ইন্টারনেটে যা করছেন তার অনেক কিছুই দেখতে বা লগ করে রাখতে পারে। নিচে কিছু উদাহরণ:

🔢 ডেটা টাইপ

📌 ব্যাখ্যা

IP Address

আপনি কোন ডিভাইস থেকে ইন্টারনেটে যাচ্ছেন

Visited Websites

আপনি কোন ওয়েবসাইট খুলেছেন (ডোমেইন বা পূর্ণ URL)

DNS Queries

আপনি কোন ডোমেইনের IP জানতে চেয়েছেন

Browsing History

যদি HTTPS না হয়, তাহলে পূর্ণ পেজ কনটেন্টও

Connection Time

কখন কানেক্ট হয়েছেন, কতক্ষণ ছিলেন

Bandwidth Usage

কতটুকু ডেটা ডাউনলোড/আপলোড করেছেন

MAC Address

আপনার ডিভাইসের ফিজিকাল আইডেন্টিটি (ISP router-level এ)


🧪 ৩. ISP কীভাবে এই ডেটাগুলো সংগ্রহ করে? (Method)

✅ (A) DNS Logging

যখন আপনি google.com টাইপ করেন, সেটা DNS এর মাধ্যমে IP-তে রূপান্তর হয়।
ISP যদি নিজের DNS সার্ভার ব্যবহার করায়, তাহলে তারা আপনার সব ব্রাউজিং রেকর্ড পেতে পারে (ডোমেইন লেভেলে)।

🔹 Example: আপনি facebook.com এ গেলে, ISP এর DNS সার্ভারে এটি রেকর্ড হয়ে যায়।


✅ (B) Deep Packet Inspection (DPI)

DPI হলো একটি শক্তিশালী প্রযুক্তি যা ISP ব্যবহার করে ইন্টারনেট ট্র্যাফিক বিশ্লেষণ করতে। এর মাধ্যমে তারা দেখতে পারে:

  • আপনি কী টাইপের কনটেন্ট খুলছেন (ভিডিও/গেম/সোশ্যাল মিডিয়া)

  • কখন কী সাইটে কতক্ষণ ছিলেন

  • কখন কী ডেটা আদান-প্রদান করছেন

📌 যদি HTTPS না হয় (HTTP), তাহলে তারা পূর্ণ কনটেন্টও দেখতে পারে।


✅ (C) Firewall / NAT Log

ISP এর ফায়ারওয়াল লগ করে রাখে কে কোন পোর্ট দিয়ে কোথায় কানেক্ট হয়েছে।
অর্থাৎ, কে কোন সার্ভারে কানেক্ট করেছে, কোন সময়, কত ডেটা পাঠিয়েছে/নিয়েছে — সবই লগ হয়।


✅ (D) Router-level Logging

আপনার ISP-এর লোকাল নেটওয়ার্কে আপনি যেই রাউটারে কানেক্ট হন, সেটি থেকেই MAC Address, Device Name, Browsing Pattern collect করা যায়।


🚨 ৪. এই ডেটা ISP কাদের কাছে দিতে পারে?

আইনের মাধ্যমে ISP এই ডেটা সরকারের নিম্নোক্ত সংস্থার কাছে দিতে বাধ্য:

  • BTRC (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন)

  • CID / DB / RAB / CTTC

  • আদালতের আদেশে সরাসরি তদন্ত সংস্থাকে


🧱 ৫. নিজেকে কীভাবে প্রাইভেট রাখা যায়? (Privacy Tips)

🛡️ উপায়

📌 কীভাবে কাজ করে

VPN ব্যবহার করুন

ISP আপনার টার্গেট সাইট দেখতে পাবে না

Custom DNS (Cloudflare/Google)

DNS লগ ISP-র কাছে যাবে না

HTTPS Everywhere

Encrypted কনটেন্ট, ISP কনটেন্ট দেখতে পারবে না

Tor Browser

একাধিক লেয়ার এনক্রিপশন, ISP-কে বিভ্রান্ত করে

End-to-End Encrypted App (e.g., Signal)

ISP দেখতে পাবে না আপনি কী বলছেন


💡 ৬. কাদের ওপর নজরদারি বেশি হয়?

  • সরকারবিরোধী বা রাজনৈতিকভাবে সন্দেহভাজন ব্যক্তি

  • হ্যাকিং / সাইবার ক্রাইমে জড়িতরা

  • পর্ন / মাদক / চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের ক্ষেত্রে

  • যাদের ওপর নজরদারির অনুমতি আছে আদালত বা প্রশাসনের


📚 Extra: চর্চার জন্য কিছু কিওয়ার্ড

  • DPI (Deep Packet Inspection)

  • NAT Logging

  • Encrypted DNS (DoH, DoT)

  • Wireshark analysis

  • Packet Sniffing by ISP

  • NetFlow / sFlow Analysis



OSINT
Open Source Intelligence

OSINT এর পূর্ণরূপ হলো: Open Source Intelligence
বাংলায় বলতে গেলে: উন্মুক্ত উৎস থেকে সংগৃহীত গোয়েন্দা তথ্য


🔍 OSINT কী?

OSINT হলো এমন তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি, যেখানে শুধুমাত্র সবার জন্য উন্মুক্ত (publicly available) সোর্সগুলো ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা ঘটনার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এটি একধরনের গোয়েন্দা কার্যক্রম, কিন্তু এখানে কোনো হ্যাকিং, পাসওয়ার্ড ব্রেকিং বা গোপন তথ্য চুরি করা হয় না।


🧩 OSINT সোর্স বা উৎস কী কী হতে পারে?

  1. সোশ্যাল মিডিয়া: Facebook, Twitter, Instagram, LinkedIn

  2. ওয়েবসাইট ও ব্লগ

  3. নিউজ আর্টিকেল ও অনলাইন নিউজপেপার

  4. গুগল সার্চ / গুগল ডর্কিং

  5. সার্বজনীন ডেটাবেইস ও সরকারি রেকর্ড: যেমন – কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন, ডোমেইন তথ্য (Whois), কোর্ট কেস, ভোটার তালিকা

  6. ইমেজ/ভিডিও অ্যানালাইসিস (জিওলোকেশন, এক্সিফ ডেটা, রিভার্স ইমেজ সার্চ)

  7. ফোরাম, GitHub, Pastebin ইত্যাদি


🎯 OSINT কোথায় ব্যবহৃত হয়?

  • সাইবার নিরাপত্তা (Cybersecurity)

  • আইন প্রয়োগকারী সংস্থা (Law Enforcement)

  • সাংবাদিকতা ও অনুসন্ধানমূলক রিপোর্ট

  • প্রতারণা ও স্ক্যাম শনাক্তকরণ

  • প্রতিযোগী বিশ্লেষণ (Competitive Intelligence)

  • ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বা ব্যাকগ্রাউন্ড চেক


⚠️ OSINT বৈধ, কিন্তু সীমাবদ্ধতা আছে:

  • শুধুমাত্র উন্মুক্ত তথ্য ব্যবহার করা বৈধ।

  • ব্যক্তিগত বা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করলে তা অবৈধ হতে পারে।

  • অনেক দেশেই আইনের অধীনে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।


📌 উদাহরণ:

আপনি কারো ফেসবুক প্রোফাইল, টুইটার পোস্ট, গুগল ইমেজ ও ডোমেইন তথ্য দেখে জানতে পারলেন সে কোথায় থাকে, কোথায় কাজ করে, কার সঙ্গে সম্পর্ক আছে — এটাই হলো OSINT।




Weback machine

Wayback Machine একটি ডিজিটাল আর্কাইভ টুল যা আপনাকে ইন্টারনেটের পুরোনো পেজ এবং ওয়েবসাইট দেখতে সাহায্য করে। এটি মূলত Internet Archive দ্বারা তৈরি করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে আপনি আগের সময়ে কোনো ওয়েবসাইট কেমন ছিল তা দেখতে পারেন।

🌐 Wayback Machine কি কাজ করে?

Wayback Machine ইন্টারনেটে নানা ওয়েবসাইটের পূর্বের সংস্করণ সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করে রাখে। এটি বিভিন্ন সময়ের মধ্যে ওয়েব পেজের স্ক্রীনশট বা কপি সংগ্রহ করে রাখে, যাতে আপনি সেই পেজটি আগের দিনগুলোর মতো দেখতে পারেন, যেমন সে পেজটি ইন্টারনেটে তখন ছিল। এর মাধ্যমে আপনি ওয়েবসাইটের ইতিহাস, লিঙ্ক ব্রোকেন হওয়া, বা কোনো পুরোনো কনটেন্ট অনুসন্ধান করতে পারেন।

📂 Wayback Machine এর প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:

  1. ওয়েবসাইট আর্কাইভিং:

    • Wayback Machine ইন্টারনেটে প্রায় প্রতিটি ওয়েবসাইটের সংস্করণ সময়ের সাথে সাথে সংগ্রহ করে। আপনি চাইলে কোনো ওয়েবসাইটের পুরোনো সংস্করণ দেখতে পারেন।

  2. ডেটাবেস অনুসন্ধান:

    • Wayback Machine ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন তারিখে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন সংস্করণ দেখতে দেয়। ধরুন, আপনি যদি জানেন যে কোন একটি ওয়েবসাইট একটি বিশেষ দিনে কেমন ছিল, তবে আপনি ওই দিনটির পুরোনো সংস্করণ খুঁজে বের করতে পারেন।

  3. সর্বজনীন সেবা:

    • Wayback Machine আপনাকে কোনো ওয়েবসাইটের ইতিহাস দেখতে দেয় এবং এটি ফ্রি সেবা হিসেবে সকলের জন্য উন্মুক্ত।


🔍 Wayback Machine ব্যবহার কিভাবে করবেন?

  1. Wayback Machine ওয়েবসাইটে যান:
    Wayback Machine এর সাইটে যেতে হবে: https://archive.org/web

  2. URL প্রবেশ করান:
    আপনি যে ওয়েবসাইটটি দেখতে চান তার URL (যেমন: www.example.com) সেখানে টাইপ করুন এবং Search বাটনে ক্লিক করুন।

  3. তারিখ নির্বাচন করুন:
    এরপর একটি ক্যালেন্ডার আপনাকে দেখাবে, যাতে আপনি নির্দিষ্ট তারিখের ওয়েব পেজের স্ক্রীনশট দেখতে পারবেন।

  4. ফলাফল দেখুন:
    ঐ তারিখে ওয়েবসাইট কেমন ছিল, সেই পেজটি আপনাকে দেখানো হবে।


🧑‍💻 Wayback Machine এর ব্যবহারিক ক্ষেত্রসমূহ:

  1. ইন্টারনেটের ইতিহাস রেকর্ড করা:
    Wayback Machine ব্যবহার করে ইন্টারনেটের ইতিহাসের একটি অংশ হিসেবে পুরোনো ওয়েব পেজগুলি সংরক্ষণ করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, যখন কোনো ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যায় বা তার কনটেন্ট পরিবর্তন হয়ে যায়, তখন Wayback Machine ঐ ওয়েবসাইটের পূর্ববর্তী সংস্করণ সংরক্ষণ করে।

  2. প্রতিবেদন ও গবেষণা:
    গবেষকরা ওয়েব আর্কাইভের মাধ্যমে পুরোনো কনটেন্ট বিশ্লেষণ করতে পারেন, বিশেষত এমন বিষয়গুলো যা ওয়েব থেকে মুছে ফেলা হয়েছে।

  3. কনটেন্ট পুনরুদ্ধার:
    যদি আপনার নিজের ওয়েবসাইটের কোনো পুরোনো কনটেন্ট হারিয়ে যায় বা মুছে যায়, তাহলে আপনি Wayback Machine ব্যবহার করে তা পুনরুদ্ধার করতে পারেন।

  4. অ্যাকাডেমিক ও গবেষণা কাজ:
    বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা পুরোনো ওয়েব পেজের পরিবর্তনগুলো ট্র্যাক করে গবেষণামূলক কাজ করতে পারেন। বিশেষ করে সামাজিক, রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিক বিষয় নিয়ে গবেষণায় এটি সাহায্য করতে পারে।


🛠️ Wayback Machine এর সীমাবদ্ধতা:

  1. নেটওয়ার্ক বা টেকনিক্যাল সমস্যা:
    কখনও কখনও ওয়েবসাইটে সব ডেটা সংগ্রহ করা হয় না। কিছু ওয়েবসাইট ডায়নামিক কনটেন্ট বা সেগুলি যেগুলো বিশেষভাবে ব্লক করা থাকে, সেগুলি Wayback Machine আর্কাইভে পাওয়া যাবে না।

  2. ডেটা লস:
    কিছু সময় ওয়েবসাইটে আর্কাইভ থাকা পেজগুলোর মধ্যে কিছু ছবি বা মিডিয়া ফাইল খুঁজে পাওয়া যায় না, কারণ সেগুলি সেভ করা হয়নি।

  3. পার্সোনাল ডেটা বা লগইন:
    Wayback Machine শুধুমাত্র পাবলিক ওয়েবসাইটগুলির আর্কাইভ রাখে, লগইন বা পাসওয়ার্ড প্রটেক্টেড পেজগুলো আর্কাইভ করা সম্ভব নয়।


উদাহরণ:

ধরা যাক, আপনি একটি পুরোনো ওয়েবসাইট দেখতে চান যা এখন আর সক্রিয় নয়। আপনি Wayback Machine ব্যবহার করে তার URL দিয়ে ২০০৫ সালের সংস্করণ দেখতে পারেন, যাতে আপনি দেখতে পারবেন ঐ সময় ওয়েবসাইটটি কেমন ছিল।


Wayback Machine ইন্টারনেটের বিশাল আর্কাইভের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা আপনাকে ওয়েবের পুরোনো ইতিহাস এবং কনটেন্ট অনুসন্ধানে সাহায্য করতে পারে।


IP এর পূর্ণরূপ হলো Internet Protocol। 

এটি হলো একটি নিয়ম বা পদ্ধতি যার মাধ্যমে কোনো ডিভাইস (যেমন কম্পিউটার, স্মার্টফোন, সার্ভার ইত্যাদি) ইন্টারনেট বা অন্যান্য নেটওয়ার্কে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে। IP ঠিকানা একটি ডিজিটাল ঠিকানা বা অনন্য সংখ্যা যা একটি ডিভাইসের অবস্থান বা পরিচয়কে শনাক্ত করে।


🖧 IP ঠিকানা কিভাবে কাজ করে?

IP ঠিকানা হল একটি পেতে সক্ষম সংকেত যা ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্কে যুক্ত ডিভাইসকে সনাক্ত করে। ধরুন, আপনি যখন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন, তখন সেই ওয়েবসাইটের সার্ভার আপনার IP ঠিকানা দেখে জানে আপনি কোন ডিভাইস থেকে আসছেন। সহজভাবে, IP ঠিকানা আপনার ডিজিটাল ঠিকানা।

🌐 IP এর দুটি প্রধান ধরনের:

  1. IPv4 (Internet Protocol Version 4):

    • এটি হলো পুরনো প্রোটোকল, যা 32-বিট লম্বা থাকে এবং 4টি সংখ্যার দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

    • উদাহরণ: 192.168.1.1

    • মোট ঠিকানা: 4.3 বিলিয়ন (অনেক কম!)

  2. IPv6 (Internet Protocol Version 6):

    • এটি আধুনিক প্রোটোকল, যা 128-বিট লম্বা এবং 8টি সংখ্যার দ্বারা প্রকাশিত হয়।

    • উদাহরণ: 2001:0db8:85a3:0000:0000:8a2e:0370:7334

    • মোট ঠিকানা: 340 সেপটিলিয়ন (বহুত বড়!)


📍 IP ঠিকানা কি কাজে আসে?

  1. ডিভাইস সনাক্তকরণ:
    IP ঠিকানা হল একটি ডিভাইসের অনন্য শনাক্তকারী। যেমন আপনি যখন ইন্টারনেটে কিছু অনুসন্ধান করেন, ওয়েবসাইট জানে আপনি কোন ডিভাইস থেকে আসছেন।

  2. ডেটা প্যাকেট রাউটিং:
    ইন্টারনেটের সারা পৃথিবীজুড়ে ডেটা প্যাকেট রাউটিংয়ের জন্য IP ঠিকানা ব্যবহৃত হয়। ডেটা সঠিক গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য এটি অপরিহার্য।

  3. লোকেশন ট্র্যাকিং:
    Geolocation প্রযুক্তি ব্যবহার করে IP ঠিকানা থেকে আপনার আনুমানিক অবস্থান জানা যায়। তবে, এটি সঠিক অবস্থান দেওয়ার চেয়ে আনুমানিক অবস্থান দেয়।

  4. নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস কন্ট্রোল:
    আপনার IP ঠিকানা ব্যবহার করে অ্যাক্সেস কন্ট্রোল সেট করা যায়। যেমন, কোনো ওয়েবসাইটে IP ব্লক করা বা নির্দিষ্ট IP থেকে অ্যাক্সেস সীমিত করা।


📊 IP ঠিকানার শ্রেণী:

  1. Private IP (অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্কের জন্য):
    এই ধরনের IP শুধুমাত্র একটি ক্লোজড নেটওয়ার্কের মধ্যে ব্যবহৃত হয় এবং ইন্টারনেটে সরাসরি পৌঁছায় না।

    • উদাহরণ: 192.168.x.x, 10.x.x.x

  2. Public IP (ইন্টারনেটের মাধ্যমে সবার জন্য উন্মুক্ত):
    এই ধরনের IP ইন্টারনেটের মধ্যে পাওয়া যায় এবং একটি ডিভাইস বা সার্ভার সারা পৃথিবীজুড়ে সবার জন্য উন্মুক্ত।


🧑‍💻 IP ব্যবহারকারী কার্যক্রম (Use Cases):

  1. ওয়েবসাইট ট্র্যাকিং:

    • ওয়েবসাইটগুলো আপনার IP ঠিকানা দিয়ে ট্র্যাক করতে পারে কে, কখন, এবং কোথায় ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করেছে।

  2. Geo-Location:

    • IP ঠিকানা থেকে অনুমানযোগ্য অবস্থান বের করা যায় (যেমন: দেশ, শহর, এমনকি শহরের আশপাশের অঞ্চল)।

  3. ব্লকিং বা রেস্ট্রিকশন:

    • সাইট বা সার্ভিসের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট IP ঠিকানাকে ব্লক করা যেতে পারে যদি কোনো নির্দিষ্ট ব্যবহারকারী অনুচিত আচরণ করে।


⚠️ IP ঠিকানা সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

  1. ডাইনামিক (Dynamic) vs. স্ট্যাটিক (Static) IP:

    • Dynamic IP: ইন্টারনেট সংযোগ প্রতিবার যখন রিস্টার্ট হয়, তখন IP ঠিকানা পরিবর্তিত হয়।

    • Static IP: এই ধরনের IP ঠিকানা অপরিবর্তনীয়, মানে একবার সেট করা হলে এটি একই থাকবে।

  2. নিরাপত্তা (Security) সমস্যা:

    • কিছু হ্যাকার আপনার IP ঠিকানা ট্র্যাক করে ডোস (DoS) আক্রমণ বা DDoS (Distributed Denial of Service) আক্রমণ করতে পারে।

  3. IP Spoofing:

    • IP স্পুফিং হল এক ধরনের আক্রমণ, যেখানে আক্রমণকারী তার আসল IP ঠিকানা ছদ্মবেশে আড়াল করে অন্য একটি IP ঠিকানা ব্যবহার করে। এটি মূলত নেটওয়ার্কে অবৈধ প্রবেশের জন্য ব্যবহৃত হয়।


🔐 IP এর নিরাপত্তা এবং প্রাইভেসি:

  1. গোপনীয়তা:
    IP ঠিকানা ব্যবহার করে একটি ডিভাইসের অবস্থান এবং অন্যান্য তথ্য চিহ্নিত করা যায়। যদি আপনি আপনার প্রাইভেসি বজায় রাখতে চান, তবে আপনার IP ঠিকানা সুরক্ষিত রাখা জরুরি।

  2. আইনি দৃষ্টিকোণ:
    আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে, IP ট্র্যাকিং বিভিন্ন কারণে করা হয়:

    1. আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অপরাধী শনাক্ত করতে এটি ব্যবহার করে।

    2. সাইবার অপরাধ বা হ্যাকিং কেসে অভিযুক্তদের আইনি প্রক্রিয়ায় আনা।


উদাহরণ:

ধরা যাক, আপনি একটি ওয়েবসাইটে লগ ইন করছেন। ওয়েবসাইটটি আপনার IP ঠিকানা দ্বারা আপনার অবস্থান জানবে এবং সেখানে বিভিন্ন কাস্টমাইজেশন বা লক করা কনটেন্ট দেখাতে পারে, যেমন দেশভেদে কনটেন্ট।